বহুদিন পর দেখা---
- কেমন আছো??
ছেলেটির চমকিত দুটি চোখ, পলক ফেলবার যার সাহস মিলল না।
-তুমি এখানে??কেমন আছো তুমি??তুমি??
-তুমি সেই আগের মতই আছো।এখনো কি নিজের খেয়াল করতে শিখলেনা??এত অগোছালো কেন??
তবু কেমন যেন মেয়েটির একটি লাইন বলতে গিয়েও বলা হল না আজো আমায় দেখে তোমার চোখ দুটো এত জ্বলজ্বল করে কেন??কেনই বা তুমি এখনো এত ব্যস্ত হয়ে ওঠো???
-তোমার কেমন কাটছে নতুন জীবনে সময়??
-তোমার চেহারাটা এখনো আগের মতই আছে।
-তুমি কেমন আছো??
-তুমি কি জানোনা??অবশ্যই জানো।কারন প্রতি মুহুরত যে এখনো আমার খবর রাখো,কিন্তু,কিন্তু কেন রাখো??
ছেলেটি নীরব।মাথা নিচু করে চোখ দুটো আড়াল করে শুধু নিজের ভেতর বলছে,তোমার জন্য আমার আজীবনের সুখের কামনা সত্যি কিনা জেনে বেচে থাকবার জন্য।
-তুমি সুখী তো??
- যাক একটু হলেও বদলেছো।এখন নাটক করতে শিখেছো,আচ্ছা সত্যি বলতো,একটা সময় বলতে আমায় ছাড়া থাকতে পারবেনা একটু ক্ষন,কি করে কাটালে এই দীর্ঘ সময়??
শুনে ছেলেটা অট্ট হাসে।পুরো হল রুমটা কাপিয়ে হাসে,
-জানোই তো আমি ফেলু ছাত্র,কেন আবার পরীক্ষা চাচ্ছো??
মেয়েটা নীরব।সে যে জানতে চেয়েও চাইতে পারেনা তোমার দুঃখ গুলোর এই কারন আমি, ভুলে কেন যেতে পারোনি আজো।
-তুমি বললেনা বদলেছি,আরো অনেক কিছু বদলেছি,আগে প্রতি বার তোমায় চাইতাম সৃষ্টিকরতার কাছে,এখন তোমার সাথে থাকা সময় গুলো শুধু ফিরে চাই।
-এতখানি ঘৃণা আমার প্রতি?
চোখের ধারা আটকে রাখলেও নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলনা ছেলেটি
-ঘৃণা নয়,তোমার প্রতি ভালোবাসাটুকুই তার কারন।সেই দিনগুলো ফিরে পেলে হয়ত আজকে এই প্রশ্নোত্তর হতনা??তোমার টলমল করা চোখ দেখতে হতনা।
কোলাহলে ভরা হল রুমটায় দুটো মানুষের শুধু অদ্ভুত নীরবতা বেচে রয়।আড়ালেই থেকে যায় সব না বলা প্রশ্নোত্তর।